সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, অগ্রাহায়ণ ২৫ ১৪৩১

জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালন

বিবেকবার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালন

ছবি- সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।জাপানে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী দিবসের কর্মসূচীতে যোগদান করেন।সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।

এসময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে আগত অতিথি, জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী এবং জাপান আওয়ামি লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং ১৯৭৫-এর সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র -প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেন,তিনি ছিলেন বাঙালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রুপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙ্গালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং বিশ্বের দরবারে স্বাধীন বাঙালী জাতির মর্যাদা।রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তাঁর দেখানো পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘‘রুপকল্প-২০৪১’’বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মেধাভিত্তিক, আধুনিক,উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।