শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

কোলকাতার জনপ্রিয় কবি সৈয়দ হাসমত জালালের সাথে বৈঠকী আড্ডা

রীতা আক্তার

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কোলকাতার জনপ্রিয় কবি সৈয়দ হাসমত জালালের সাথে বৈঠকী আড্ডা

বৈঠকী আড্ডা

আড্ডা দিতে কার না ভালো লাগে। আর তা যদি হয় কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে আড্ডা তাহলে তো আর কথায় নেই। শিল্প সাহিত্যে জানার পরিধি যেন বেড়ে যায় বহুগুণ।

বিশাল বাংলা সাহিত্য পরিষদ নানা সময় নানা আঙ্গিকে আয়োজন করে চলেছে শিল্প সাহিত্য বিষয়ক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবাগে অবস্হিত সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো এক বৈঠকি আড্ডা।

কোলকাতা থেকে বাংলা ভাষার খ্যাতিমান কবি সৈয়দ হাসমত জালাল এর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে এই বৈঠকি আড্ডার আয়োজন করে বিশাল বাংলা সাহিত্য পরিষদের কর্ণধার মাহবুবা রহমান লাকি।

আড্ডার শুরুতে কবি সৈয়দ হাসমত জালালকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

বৈঠকি এই আড্ডায় উপস্হিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত কবি অসিম সাহা, বিশাল বাংলা সাহিত্য পরিষদের প্রধান মাহাবুবু রহমান লাকি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসলাম সানী, বিবেকবার্তা'র সাহিত্য সম্পাদক রীতা আক্তার।আরো উপস্হিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.এ বি এম শহিদুল ইসলাম, গীতি কবি নজরুল ইসলাম আজাদ, বিখ্যাত চলচ্চিত্র সূর্য দীঘল বাড়ি'র নির্মাতা মশিউদ্দীন সাকের, কবি রাজিয়া সুলতানা, কবি মাহবুবা ফারুক।

বাংলাদেশ ভারত শিল্প সাহিত্যে এক সুতোয় বাধা। বাংলাদেশ এবং ভারত শিল্প সাহিত্য নিয়ে নানা রকম কাজ করে চলেছে। বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকে করছে আরো সমৃদ্ধ। এমনি কথা বলেন কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসলাম সানী।

চলচিত্র নির্মাতা মশিউদ্দীন সাকের স্মৃতিচারণ করলেন তার ছোট বেলার কথা। তিনি বলেন - ছোট বেলায় স্কুল থেকে ফিরে তিনি গল্পের বই পড়তেন। তার দাদীর দুইটি আলমারি ভর্তি বই তাকে সব সময় কাছে টানতো। বই পড়ার নেশায় যেন বুঁদ হয়ে যেতেন তিনি। সেই বই পড়া থেকে এক সময় তিনি পড়েন আবু ইসহাক রচিত গ্রন্হ সূর্য দীঘল বাড়ি। গ্রন্হটি তার মন কে নাড়া দেয় এবং এক সময় তিনি তার জন্মস্হান ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর তিনি নির্মান করেন সূর্য দীঘল বাড়ী সিনেমাটি। সেই সময়কার নানা কথা তিনি তুলে ধরেন।

কবি অসিম সাহার সাথে, কবি হাসমত জালালের আত্মার সম্পর্ক। তিনি বলেন - হাসমত জালাল শুধু একজন কবিই নন। একাধারে তিনি সাংবাদিক এবং একজন অসম্প্রদায়ীক একজন মানুষ। সৈয়দ হাসমত জালালের সঙ্গে কাটানো অনেক সময়  স্মৃতিচারণ করেন।

বৈঠকী এই আড্ডায় উপস্হিত সকলে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। একটি নির্মল সন্ধ্যায় গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে এই আড্ডা হয়ে উঠে আরো প্রাণবন্ত।

বাংলাদেশ ও ভারত এভাবেই শিল্প ও সাহিত্যে এগিয়ে চলুক। সাহিত্যের প্রসার হোক আর দীর্ঘ আরো গতিময়। চায়ের আড্ডায় প্রাণ ফিরে আসুক দুই বাংলার সাহিত্যঙ্গন।